• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

জাতীয় রাজনীতিতে কেন হিরো আলমেরা?

Reporter Name / ১৮৫ Time View
Update : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

-রিন্টু আনোয়ার

————————-
কিসের মধ্যে কী? কোথায় আইয়ুব খান কোথায় খিলি পান- ধরনের কতো কথামালা আছে আমাদের এ বঙ্গদেশে। রঙ্গও প্রচুর। একটার সাথে আরেকটির প্রাসঙ্গিকতা বা তুলনা নেই। কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন, বগুড়ায় পরাজিত হওয়া হিরো আলম নামে পরিচিতি পাওয়া আশরাফুল আলম ক্রেজ, শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ছবি, ভারতে আমাদের লেখিকা তসলিমার নাসরিনের চিকিৎসা বিভ্রাট, বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতি, পদযাত্রা কর্মসুচির নামে বিএনপির টিকে থাকা, তুরুস্কে ভূমিকম্প বা চট্টগ্রামের এমপি মোসলেম উদ্দিনের মৃত্য – একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিটিই আলাদা ঘটনা। কিসের মধ্যে কী-এর মতো সবগুলোকে এক করে ফেলা বিমারির মতো হয়ে উঠেছে। তা অগ্রাহ্য হচ্ছে না। বেশ চলছেও। শ্রোতা-দর্শক প্রচুর। আজব কাণ্ডকারখানার অবস্থা।
আলোচনা বা গসিপের হাটে ফর্মে হিরো আলম। মিডিয়াতে হট আইটেম। নামকরা গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান টিআইবি পর্যন্ত হিরো আলমকে নিয়ে মাথা ঘামায়, গুরুত্ব দেয়। তাকে বড় দু’দল তাচ্ছিল্য করছে বলে মত দেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও নড়েচড়ে বসে। একে একে আরব নিউজ, খালিজ টাইমস, ফ্রান টোয়েন্টিফোর, এএফপি, বিবিসি ওয়ার্ল্ড গুরুত্বের সঙ্গে তাকে তুলে ধরে সংবাদ প্রচার করে। বিবিসি ওয়ার্ল্ড টেলিভিশনে ইংরেজি বিবরণসহ সংবাদ প্রচারিত হয়। আর স্যোশাল মিডিয়ায় তো কথাই নেই। দেশের মূল ধারার গণমাধ্যমও তাকে নিউজ আইটেম হিসেবে পেতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কলামিস্টরা হিরো আলমকে বিষয় করে নিবন্ধ লিখছেন, এমনকি বিশ্বসেরা বিদেশি গণমাধ্যমগুলো বাংলা নিউজ ভার্সনে, টকশোতে তাকে নিয়ে সরস আলোচনা করেছে! বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে তো আরো বেশি। তার সাক্ষাৎকারসহ স্টোরির প্রচুর দর্শক। ওগুলোর প্রচুর হিট। তাদের টিআরপি বাড়ানোর একটা জব্বর ইস্যু এই হিরো। তিনি মিডিয়াকে টাইম-সিডিউল দিতে পারছেন না। আর রাজনীতি! এতো কথাই নেই। এটাই এখন দেশের বাস্তবতা।
উপ-নির্বাচনে হেরে ফলাফল জালিয়াতির বিরুদ্ধে চড়াকড়া কথা বলে তিনি যেন ক্ষণজন্মা জাতীয় নেতা। অসাধারণ বাহাস করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও। তাই গোটা ব্যাপারটাই যেন অন্যরকম বার্তা দেয়।
মোট কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর মানুষের দৈনন্দিন আড্ডার বিষয় হিরো আলমময়। দেশের কোনো নির্বাচনে কারও মনোনয়ন-নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা-সমালোচনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এসব আলোচনায় কারণ মূলত এক পক্ষ হিরো আলমের নির্বাচনী উদ্যমকে সাধুবাদ জানাচ্ছে, অপর পক্ষে নাক সিটকাচ্ছে। হিরো আলমের সাংসদ হওয়ার কিংবা মনোনয়ন ফরম কেনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তার প্রত্যুত্তরে হিরো আলম যা বলছেন, তা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই বাস্তব রূপ। উদাহরণ জিসেবে হিরো আলম সামনে এনেছেন মমতাজ, মাহি মাশরাফিদের নাম। তারা পারলে হিরো আলম কেন নয়।
ফুটপাতের ফেরিওয়ালা,সিডি বিক্রেতা, মিউজিক ভিডিও,টিকটক রঙ্গ থেকে রাজনীতি, সব মিলিয়ে হিরো আলম সোস্যাল মিডিয়ার কারণে মাঠের আলোচনায় আছেন অনেকদিন থেকেই। কিন্তু সম্প্রতি বগুড়ার নির্বাচনে পরাজয় তাকে নতুন মাত্রা পাইয়ে দেয়। চলতি ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপ-নির্বাচনে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ করেন তিনি। জানান, ভোট চুরি নয়-তার ফলাফল চুরি হয়েছে। এর শিরোমনি সেখানকার ডিসি-এসপি। তাকে স্যার সম্বোধন করতে হবে ভেবে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে ফেল করিয়ে দিয়েছেন ডিসি-এসপি মহোদয়রা।
হিরোর কথা মনে ধরেছে অনেকের। তার এমন সাহসী উচ্চারণ নিউজ ফিডে ঘুরতে-ঘুরতেই একই ধাঁচের তীব্রতা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাত বারের এমপি দবিরুল ইসলামের কণ্ঠে। ফেল করে ডিসি-এসপিদের রুচি-মর্জি বুঝেছেন হিরো আলম। ফেল না করে সাতবার জিতেও, তারকা এমপি দবিরুল চটেছেন সেখানকার আমলাদের ওপর। ডিসি এবং ইউএনওরা অনেক এলাকায় রাজত্ব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবটা এমন যেন জনপ্রতিনিধিরা অবাঞ্চিত। বলতে-বলতে বলেই ফেললেন- ‘আমরা (এমপিরা) যেন তাদের (ডিসি-ইউএনও) দয়ায় চলছি। তারাই যেন দেশটার মালিক। তারা যা করে সেটাই চুড়ান্ত। …’ শুধু আমি না, এই সংসদে অনেকই আছেন যাদের এলাকায় সরকারি কর্মকর্তারা রাজত্ব চালাচ্ছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমরা নামমাত্র নির্বাচিত হয়েছি।
দবিরুল মূলত হিরো আলমের সাপ্লিমেন্ট করেছেন। কোনো ক্লোজ ডোর বা ব্যক্তিগত আলাপে নয়, কথাগুলো তিনি বলেছেন মহান সংসদে। তাও মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায়। কিন্তু, বাজার পেয়েছে বগুড়ার হিরো আলম নামের ক্লাউন কিছিমের কথাগুলো।
যা বেশ হইচই ফেলেছে। এই আসনের উপ-নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছে হিরো আলম। কেবল বক্তব্য ও প্রতিবাদী অভিযোগের বেড়ায় বন্দি না থেকে এসব অভিযোগের যেন দ্রুত যথার্থ আইনি সমাধান লাভ করা যায় সেই ব্যবস্থাও চেয়েছেন তিনি। স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ভাষায় তিনি কষ্টের সুরে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্টে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি একমাত্র প্রার্থী ৪-৫ জন কর্মী, একটি পিকআপ, দুটি মাইক নিয়ে দুটি আসনের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। তাদের নানাভাবে সম্বোধন করেছি। ফলে সাধারণ জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভোটার হলেও অনেক বলেছেন, তারা আমার ‘একতারা’ প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। তাহলে ওই সব ভোট গেলো কোথায়? এ প্রশ্ন ছোঁড়ার সময়ই বলেছেন, ‘আমি অশিক্ষিত, আমি এমপি নির্বাচিত হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে। দেশের সম্মান যেত; তাই ওই সব সাহেবরা আমার ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে ওই সাহেবদের দেখিয়ে দিতাম আমিও পারি।’
বাস্তবতা হলো,হেরে যাওয়া প্রার্থীরা তো মনকে বোঝাতে কতো কথাই বলেন। কিন্তু, সেগুলোর আর হিরো আলমের বক্তব্যের প্রেক্ষিত এক নয়। ভোটের পরিস্থিতি ভালো হলে তার এসব কথা তেমন ভ্যালু পেত না। একটি দেশের প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এসব উপ-নির্বাচনে কোনো সাধারণ স্বতন্ত্র বিজিত প্রার্থী এমন কড়া প্রতিবাদ করতে পারে সেটাও একটা ঘটনা। তা কেবলই ইস্যু? হিরো আলম কেবলই একটি ক্যারেক্টর? তা বিচেনা ও বিশ্লেষণের বহু খোরাক এখন সামনে। গতিশীল ও অবাধ অন্তর্জাল তথ্যপ্রবাহ সঞ্চালনের এই যুগে গণমাধ্যমের কল্যাণে কোনো কিছুই মানুষের অজানা নয়। জনগণের সাথে সামান্য চালাকি আজকাল দ্রুত অনুভব করা যায়, বোঝা যায়। প্রতিবাদ হয় না কেন, তা সবারই জানা। হিরো আলম নামের আনকোরা-ছোকরা কিছিমের ব্যাক্তিটি এর সূচনাটা করেছেন আলাভোলা ধাঁচে।
একে একটি ছেলেখেলা বলে তাচ্ছিল্য করাই যায়। কিন্তু সকল তাচ্ছিল্যের জবাব দিতেও ছাড়ছেন না তিনি। রাজনীতি ও প্রশাসনে তোয়াজ-তোষণের মচ্ছবের প্রথায় একটা চপেটাঘাতও করে দিয়েছেন। ‘হোয়াইট কলার হিরোইজমের’ কাছে এক অতি সাধারণের হিরোগিরি অবশ্যই আলোচনার দাবি রাখে। নামকরা গণমাধ্যমের সাংবাদিক-সম্পাদকরা ওই দাবি না বুঝলে তাকে ও তার কথাগুলোকে এভবে ভ্যালু দিতেন না।
আর তা নিশ্চয়ই বোঝেন বলেই হিরো আলমের সঙ্গে খেলবেন না জানিয়ে পিছুটান দিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হিরো আলমকে নিয়ে তার কোনো মন্তব্য ছিল না দাবি করে এরই মধ্যে কথা ঘুরিয়ে নিয়েছেন তিনি। আরো দাবি করেছেন তার মন্তব্য ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ের সুপার হিট-বাম্পার ট্রল আইটেম না হয়ে উপায় আছে?
আবার তার ’খেলা হবে-খেলা হবে’ শ্লোগান এর শিরোনামে কমিক ধরনের তাফালিংয়ের নানা সমালোচনা থাকলেও বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছাড়া কেউ এগিয়ে আসছিলেন না। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাইড কেটে গিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিষয়ে কথা বলতে তার রুচিতে বাধে। তবে, রুমিনের রুচিতে বাধেনি। খেলা হবে-র জবাবে তিনি বলেছেন, খেলবেন? আসেন খেলি। খেলার ডাকে এমন সাড়া তাকে ভাইরালের বাজার পাইয়ে দিয়েছে। রাজনীতির মাঠে নেমে বাম্পার হওয়া এই হিরো আলম কিন্তু এতো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ধার ধারেননি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ওবায়দুল কাদেরকে বলেছেন, খেলার জন্য মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না? একটু আমার সাথে প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দিয়ে আমি হিরো আলমের সাথে একটা নির্বাচন করেন। আমি স্বতন্ত্র আর আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি দেখেন খেলা হয় কিনা? তার ছোট্ট এ কয়েক প্রশ্নের জবাব পাওয়া কঠিন। তারওপর কারো কারো পিলে চমকেও দিচ্ছে। একপ্রকার ডিসঅর্ডার করে ছাড়ছে। আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মোসলেম উদ্দিনের জানাযায়ও যেন প্রয়াতের চেয়ে বেশি সাবজেক্ট হয়ে গেছেন হিরো আলম। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে দেকা যায় একদিকে মোসলেম উদ্দিনের মৃতদেহ, আরেকদিকে হিরো আলম বিষয়ক কথাবার্তা। আগের কথা অস্বীকার। ’হিরো আলম বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করিনি’- ইত্যাদি দাবি করা কতো জরুরি হয়ে গেল একজন এমপির মুর্দার সামনে দাঁড়িয়েও?
স্মার্টদের স্মার্টনেসে কেন এমন গোলমাল? কেন নিজেদের ছাড়া বাদবাকি সবাইকে ডাম্ব ভাবছেন তারা? ভাবনাটির আবার প্রকাশও ঘটাচ্ছেন। তা আবার জানাযায় গিয়েও। এটা সামনে কি আসল খেলোয়াড়দের আগমনী বার্তা? নাকি দমনের বার্তা? বগুড়ার হিরো আলম এমন দুঃসাহস দেখিয়ে এখনও কিন্তু মুক্ত আছেন? তবে, কক্সবাজারের জগদীশ বড়ুয়া পার্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইচ্ছা জানিয়ে গোলমালে পড়ে গেছেন। হিরো আলম আছেন আরেক ধাঁচে। তাচ্ছিল্য করা এমন ভাইরাল আইটেম যে আরো উঠে আসবে না,তা বলা যায় না। হিরো আলম মোটেই কোনো বিপ্লবী-বিদ্রোহী নন। তাকে নিয়ে সব দিক থেকে উচ্ছ্বাসটাও তার প্রতি সমর্থন বা ভালোবাসা থেকে নয়। তাছাড়া এখানে সমাজ পরিবর্তনের বিন্দুমাত্র ইঙ্গিতও নেই। আবার একবারে হুজোগে নাও হতে পারে। কারো জন্য লজ্জা-সতর্কতা এবং বোধ-উপলব্ধির কিছু থাকলে তা বুঝলেই যথেষ্ট।
পরিশেষে বলতে চাই, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম কেন প্রাসঙ্গিক,এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার আগে। হিরো আলম প্রাসঙ্গিক কারণ তিনি আলোচনায় আছেন। আর এই আলোচনা একটা সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে। হিরো আলম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আনার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই জাতীয় নির্বাচনে কেন হিরো আলম, তা না বলে জাতীয় রাজনীতিতে কেন হিরো আলমেরা? সেই উত্তর খোঁজা জরুরী।
বুঝতে হবে রাজনীতি হিরো আলমদের জন্য নয়। দানধ্যানের মধ্য দিয়ে হিরো আলম একজন মহান সেবক হতেই পারেন। কিন্তু দানধ্যান করলেই সে আইন প্রণেতা হয়ে যায় না,সেটা ভাবার অবকাশও নেই। নেতা হতে হলে মূলত নেতৃত্ব দেয়ার আর জ্ঞান অর্জনের মতো যোগ্যতা থাকতে হয়।
আমাদের জাতীয় সংসদে যে একেবারে কোনো অযোগ্য সাংসদ নেই সে কথা অস্বীকার করা যাবে না। আর হিরো আলম সেটি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সেটা মনে করাই যায়।
তাই আমাদের সবার উচিত রাজনীতি সচেতন হওয়া। তা না হলে দেশের রাজনীতিতে হিরো আলমদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যাবে। ‘শিক্ষিত মানুষ চুরি করে, অশিক্ষিত মানুষ সৎ’ এই উদাহরণ থেকে নাগরিককে বের করে আনার দায়িত্বটা নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
আমাদের রাজনীতির একটা গৌরবময় ইতিহাস আছে। আমরা রাজনৈতিক যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পাওয়া একটা রাষ্ট্র। রাজনীতির মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ চর্চায় যে কেউ যেন চালকের আসনে বসতে না পারে সে ব্যাপারে এখন থেকেই সচেতন হওয়া দরকার সরকার ও সাধারণ জনগণের। সাধারণের কাছে রাজনীতিকে একটা মননশীল চর্চার চারণভূমি হিসেবে প্রতিস্থাপন করার দায়িত্ব সরকারেরই।

লেখক:সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category