• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

জুমার জামাত পণ্ড মসজিদে হামলায়, ইমাম মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ১৫

Reporter Name / ১১ Time View
Update : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জুমার নামাজের আগে মসজিদে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এতে ওই মসজিদের জুমার নামাজ পণ্ড হয়ে যায়।

আহতদের মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিকটস্থ ফাঁড়ি পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে দুপুর ১টার দিকে মসজিদে ৬০-৭০ জন মুসল্লি জুমার নামাজের জন্য জমায়েত হয়। জুমার খুতবা চলাকালে প্রতিপক্ষ হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন নারী পুরুষের সংঘবদ্ধ একটি দল মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। এ সময় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে হামলাকারীরা মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এতে মসজিদের ইমাম ক্বারি আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদার (৪৮), নাতি রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০) গুরুতর আহত হয়। অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ইস্রাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয়সহ (১৪) উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে  তারই প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সঙ্গে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোনো হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ করছেন। হিসাব চাইলে তার ভাই এনায়েত হাওলাদারসহ ৫ জনকে জখম করে।

মসজিদের ইমাম ক্বারি আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুতবা চলাকালে হঠাৎ করে মসজিদের একদল লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মুসল্লিরা ছুটাছুটি করে যে যার মতো চলে যায়। এ হামলায় আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। পরবর্তীতে ৬ জন মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করেছি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি তিনি অবহিত নন। ফাঁড়ি পুলিশও তাকে ঘটনাটি জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category