• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

ডায়াবেটিক রোগীর জন্য টিপস

Reporter Name / ২৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪

সাধারণত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিনি, মিষ্টি, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত তেল ইত্যাদি বর্জনীয়, এটা কম বেশি সবাই জানে। কিন্তু রোগীরা অনেক সময় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন রেস্টুরেন্টে কিংবা কোনো নতুন জায়গায় গিয়ে অপরিচিত কোনো খাবারের মুখোমুখি হলে। তখন কী করা উচিত? একটা সাধারণ নিয়ম এক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে। সেটা হলো, খেতে গিয়ে যদি কোনো কিছু মজা লাগতে থাকে তখন বুঝতে হবে সেটা ক্ষতিকর।

সঙ্গে সঙ্গে তা খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। তাহলে তুলনামূলক নিরাপদ থাকা যাবে। কোনো ডায়াবেটিক রোগী যদি নতুন কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ভাবেন, কোন বিশেষজ্ঞ দেখাবেন তারও আগে তাকে নিশ্চিত করতে হবে ডায়াবেটিসটা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। যদি না থাকে তবে. ওটাই আগে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিয়ম-শৃঙ্খলার অভ্যাস পালনে ডায়াবেটিস রোগের মতো আর অন্য কোনো রোগ বাধ্য করে না। কে না জানে যে সর্বক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা সফল মানুষের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। যে রোগী আগে হয়তো তার ব্যক্তিগত জীবনে অতটা শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিলেন না, তিনিও ডায়াবেটিস হওয়ার পর রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে আরও বেশি সফলতার মুখ দেখেন। তাই এ রোগ হওয়া অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ।

কোনো রোগের আশ্চর্য বা ধন্বন্তরী কোনো চিকিৎসা হয় না, ডায়াবেটিসের তো নয়ই। আজকাল ফেসবুকে কিছু ওষুধের বিজ্ঞাপন এই বলে দেওয়া হয় যে, এগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নয় একেবারে নির্মূল করে ছেড়ে দেবে। তাদের এ দাবি কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি, এমনকি কোনো কোনো চিকিৎসকও endorse করেন। অথচ ওসব ওষুধে কী কী উপাদান আছে তা কেউ জানে না।

একটা ওষুধের ব্যাপারে যেটা জানা একান্ত জরুরি, শুধু তাই না ওসব উপাদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কখন তা দেওয়া যাবে না এগুলোও জানা থাকতে হবে। এগুলোর ব্যবহার তাই অনুচিত ও বিপজ্জনক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ওষুধে সঠিক মাত্রার পরোয়া না করে অ্যালোপ্যাথিক অ্যান্টিডায়াবেটিকসেরই ককটেল থাকে যার এলোপাতাড়ি প্রয়োগ প্রথমে কার্যকর মনে হলেও পরবর্তী সময়ে তা প্রাণঘাতী হয়।

লেখক : ডায়াবেটিস রোগ বিষেশজ্ঞ, প্রাভা হেলথ, ঢাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category