• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

লবণাক্ত জমিতে সরিষা চাষে সফল হারুন গাজী

Reporter Name / ২১ Time View
Update : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪

কোনো প্রকার চাষ ছাড়াই লবণাক্ত এলাকায় মাছের ঘেরে সরিষা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হারুন গাজী। পানি সেচে মাছ ধরার পর সেই ঘেরে কোনো চাষ ছাড়াই ৮০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন তিনি।

লবণাক্ত এলাকায় সরিষার এমন চাষ দেখে হতবাক সবাই। হারুন গাজীর এই ঘের থেকে বিঘাপ্রতি ২ মণ করে সরিষা উঠবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তা। সরিষা ফুলে রোগ ও পোকার আক্রমণ বেশি হওয়ায় প্রতিরোধ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ফসল উঠবে হারুন গাজীর ঘরে।

সরেজমিনে জানা যায়, হারুন গাজীর ঘেরে হলুদ প্রকৃতির সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়িয়েছে কপোতাক্ষ নদের তীরে। এটি মূলত একটি মাছের লিজ ঘের। বছরের পর বছর এখানে মাছ চাষ করা হয়। বছরের প্রায় ৯ মাস লবণ পানিতে তলিয়ে থাকে চিংড়ি ঘেরটি। মাছ আহরণের পর ২-৩ মাস পড়ে থাকে ঘেরের জমি। এ বছর বদলে গেছে এ দৃশ্য। ৮০ বিঘার ঘেরজুড়ে হয়েছে সরিষার চাষ।

পাইকগাছা উপজেলার মালথ গ্রামের মৃত শাহজদ্দীন গাজীর ছেলে কৃষক হারুন গাজী। তিনি গদাইপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের তীরে হিতামপুর মৌজায় বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। প্রথম বছরেই ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

jagonews24

কৃষক হারুনের সফলতা দেখে অনেক মাছ চাষি সরিষা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। হারুন বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর যাবৎ কপোতাক্ষ নদের তীরে ঘের করে আসছি। অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মাছ আহরণের পর ২-৩ মাস পড়ে থাকে। অনেকের পরামর্শ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বীজ সংগ্রহ করে বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছি। সম্পূর্ণ বিনা চাষে বাড়তি আয় হিসেবে অনেক লাভ হবে বলে ধারণা করছি। এতে খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিনসহ কৃষি বিভাগ থেকে মাঠটি পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ বলেন, ‘দেশের মোট চাহিদার ৯০ ভাগ তেল আমদানি করতে হয়। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা আমদানি খাতে চলে যায়। আমদানি নির্ভরতা কমাতে বর্তমান সরকার এবং কৃষি বিভাগ তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাই কৃষি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আশা করছি কৃষক হারুন গাজীকে অনুসরণ করে অন্য মাছ চাষিরা তাদের চিংড়ি ঘেরে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে এগিয়ে আসবেন। বিনা চাষে সরিষা উৎপাদনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এটি কাজে লাগাতে পারলে এলাকার কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category