দৃশ্যত বা প্রকাশ্যে না-না, ভেতরে হা-হা করার একটি সংস্কৃতি বাংলাদেশের রাজনীতির বৈশিষ্ট্যের মতো। সরদরে বলেন, মানি না-মানি না; অন্দরে বহু কিছুই মানেন। এই মানামানির মাঝে আবার যে যার মতো পাওনা হাছিল করে নেন। নিজে জেতেন, প্রতিপক্ষকে ঠকান। আর দেশি-বিদেশি মিডলম্যানদের হাত করে ওই ঠকাঠকিটা জায়েজ করেন। গত কয়েক বছর নয়, প্রায় ৩ যুগ এ সংস্কৃতিই চলছে দেশের রাজনীতিতে।
ক্ষমতাসীনরা সচরাচর আলাপ বা সংলাপে যেতে চান না বিরোধীপক্ষের সঙ্গে। সামনে ‘নিজেদের’ বিলাপের সমূহ শঙ্কা দেখলে তখন ‘দেশের’ স্বার্থে সংলাপের রাস্তা মাপেন। কিন্তু আগে-পিছে কিছু বাড়তি কথা বলেন। এবারও তাই। মাত্র ক’দিন আগেও ক্ষমতার শীর্ষ মহল থেকে বিএনপিকে লক্ষ করে বলা হয়েছে, ওদের সাথে কিসের সংলাপ। বিএনপি সন্ত্রাসী। ওদের গায়ে আগুনের গন্ধ। আর বিএনপির তরফে বলা হয়েছিল, এ সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। অতিতের অভিজ্ঞতায় আমরা বুঝে নিয়েছিলাম, ওইসব কথার নেপথ্যে ছিল সংলাপের একটি সম্ভাব্য বার্তা। মাত্র দিন কয়েকের মাঝেই বার্তাটি ফলতে থাকে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন, এরপর একটি ছোট মন্ত্রী পরিষদ হবে। সেটিই হবে নির্বাচনকালীন সরকার। একদিনের মাঝেই তিনি তার কথা বদলে ফেলেন। দাবি করনে তিনি কথাটি এভাবে বলেননি। এর দিন দুয়েকের মাঝেই আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা শক্ত কথার মানুষ আমির হোসেন আমু ১৪ দলের এক জনসভায় বলেছেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তারা বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে দেখতে চাই, কোথায় সমস্যা, সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা কোথায় এবং কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে, অন্য কোন পথে নয়। তার এই বক্তব্যের তাত্ক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিমত করেন আমুর বক্তব্যের সাথে। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশে এ রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে কারো সঙ্গে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতা লাগবে। সরকারের প্রভাবশালী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও বলেছেন, আমু বক্তব্য তার ব্যক্তিগত।আবার একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের এক নেতা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা বলেছেন। অবশ্যই সংলাপ ও আলোচনার বিকল্প কিছু নেই। আওয়ামী লীগ সংলাপে বিশ্বাসী।
এদিকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু নিজের দেয়া বক্তব্যের অবস্থান পাল্টিয়ে বলেছেন, নির্বাচন ইস্যুতে কাউকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়নি।কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কাউকে আহ্বান করার সুযোগও নেই। এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে দাওয়াত করে এনে খাওয়াব। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনা কেন হবে? প্রশ্ন উঠছে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমন কি হল যে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে আসলেন। ২৪ ঘণ্টা আগে দেওয়া বক্তব্যকে তিনি অস্বীকার করলেন।
এতে বুঝা যায়, আওয়ামী লীগের এলোমেলো কথার সারকথাও সংলাপ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিরোধী দল বিএনপি বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। এই সংকট নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার বিষয়ে কোন পক্ষ থেকেই এর আগে কিছু বলা হয়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে দুদলের অনড় অবস্থানের বিপরীতে গোপনে দেনদরবারও বাড়ছে। নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক বা দলনিরপেক্ষ সরকার প্রশ্নে প্রকাশ্যে কেউ ছাড় দিতে রাজি না হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে পর্দার আড়ালে সংলাপ এক অর্থে শুরু হয়ে গেছে। সেটা অনানুষ্ঠানিক। আর মিডিয়েটর হচ্ছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। দেশের কারো ডাকদোহাই না শুনলেও তারা এখন বিদেশিদের শাসন-বারণে মুগ্ধই নয়, পুলকিতও। তবে কম দুঃখে বিলাই গাছে ওঠে না প্রবাদের মতো আওয়ামী লীগ সামনে সম্ভাব্য বিলাপের তীব্রতা কমাতে এখন সংলাপের পথে মাথা ঢুকিয়েছে।
অথচ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপের জন্য মাথা ঠুকে আসছিলেন সুশীল সমাজসহ দেশের নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। তাদেরকে নিম্নভাষায় তাচ্ছিল্য করা হয়েছে সরকারি মহল থেকে।
সংলাপ প্রশ্নে এবার আনুষ্ঠানিক বিসমিল্লাহটা হয়েছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর ইতিবাচক বক্তব্যে। তাও আবার তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে গেলেন। যদিও দুদলের মাঝে কূটনৈতিক মধ্যস্ততায় চা-চক্র, ডিনার, লাঞ্চ ইত্যাতির নামে সংলাপ চলছে প্রায় মাসখানেক ধরে। অবস্থা বুঝতে পেরে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে-বার্তা দিয়ে গোপন মেলবৈঠকটির লাগাম টানার চেষ্টা করেছিলেন আমু। বার্তাটি দেয়ার সময় তিনি জাতিসংঘকে যোগ করে দুলাইন বেশি বলেছেন। সেটাও মনের সুখে নয়। বাস্তব দশা বুঝেই। আওয়ামী লীগের ভেতরের একটি অংশ মনে করে অবস্থা যেদিকে গড়াচ্ছে, সামনে গুরুচরণ দশা আসতে পারে। তাই আর দেরি না করে, খোঁচা-টিপ্পনি দেয়া বন্ধ করে সংলাপ ইস্যুকে রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দিলে ক্ষতি কম হবে। বিরোধীদল দমে যাবে। তাদের এ হিসাব বাস্তবে কতোটা মিলবে-তা এখনো প্রশ্নবোধক। এর বিপরীতে সরকারি দলের একটি গ্রুপের ধারনা, আগ বাড়িয়ে সংলাপের আলাপ আরো বেশি ক্ষতি ডেকে আনবে। বিরোধীদল আগেভাগেই মারমুখী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তুলাধুনা শুরু করে দিতে পারে। দলের মধ্যে এ দোটানার জেরে আমু এখন কিছুটা থমকে গিয়ে ঝিম ধরেছেন। সংলাপের কথাটি তিনি এভাবে বলেননি-আইনমন্ত্রীর মতো এমন একটি মতিগতি দেখাচ্ছেন। এসবের মধ্য দিয়ে আসলে সরকারের ভেতরের ডিসঅর্ডার অবস্থার প্রকাশ ঘটে গেছে।
সরকারের এই দশা বুঝে বিএনপি ভাব বাড়িয়ে দিয়েছে। এজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপেই সাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে দলটি। তাদের এক কথা- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়। দলটির নীতিনির্ধারকরা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল। মোটকথা সরকারকে বিদায় করে সংকট সমাধানে সংলাপে বসার চিন্তা তাদের। আওয়ামী লীগের এক নেতার সংলাপের আলাপ, আরেক নেতার বিরোধীতার মাঝেও তারা চাতুরি দেখছে। ভাবছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে নিতে শুধু সংলাপ নয়, আরও নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে ছাড়ের প্রস্তাবও দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এবার আর আগের মতো আর কোনো ট্র্যাপে পড়বে না তারা।
বিএনপি মহাসচিবের কথা একদম সোজাসাপ্টা। একমাত্র নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের এজেন্ডা ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কোনো আলোচনা বা সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের। আগের অভিজ্ঞাতাও মনে আছে তাদের। অতীতে এজেন্ডাবিহীন সংলাপে তারা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনোটাই রক্ষা করেনি। ওইসব বৈঠকে আমির হোসেন আমুও ছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রেখে আর টেস্ট গেমে যেতে চায় না বিএনপি ও সরকার বিরোধী মহল। তাই এক্ষেত্রে এজেন্ডাবিহীন সংলাপে বসাতে তৃতীয় কোনো পক্ষ সমঝোতার চেষ্টা করলেও তাতে সায় দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। ২০১৮ সালে তারা এক অভিজ্ঞতা নিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়েছে আরেক অভিজ্ঞতা। নিয়মরক্ষার নির্বাচনের কথা বলে কয়েকদিন বাদেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেয়ার ওয়াদা রাখেনি বর্তমান সরকার প্রধান। সেই সময় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে সমঝোতার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তার উপস্থিতিতে দুদলের আলোচনা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পর অল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি ভোট করা হবে। তারানকোর উপস্থিতিতে দেয়া সেই কথা আওয়ামী লীগ পরে রাখেনি।
গত কয়েকমাসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির তাগাদা ও চাপের কারণে উভয় দলই নির্বাচনমুখী সমাধানে তৎপর। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ নিয়ে নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। দুইদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রী পর্যায় থেকে সংলাপ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য আসায় পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ রাখছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। স্পষ্ট হতে চাইছেন আওয়ামী লীগের আসল উদ্দেশ্য আসলে কী, সংলাপের ব্যাপারে। সেক্ষেত্রে প্রকাশ্য ও পর্দার আড়ালে ঘটমান পুরো পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে বিএনপিসহ সরকার বিরোধী নেতাদের। তাদের আরো সময় নিয়ে অবস্থা দেখার বিষয় রয়েছে। সরকার এবার নতুন কোন চাতুরি করে–এ প্রশ্ন বিএনপিকে তাড়া করনাও স্বাভাবিক। ।
নির্বাচনি সংলাপ নিয়ে গত বছর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা পরস্পরবিরোধী অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। অতিসম্প্রতি আবারও এই সংলাপ প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের নিয়মিত বিরতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কারণে সংলাপ নিয়ে আবারও আলোচনা সামনে এসেছে। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে গত কয়েক মাসে দফায়-দফায় বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিএনপি,আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যস্ততায় বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীও ছিলেন।সেই প্রসঙ্গে তার এখনকার ঘটনা সম্পর্কে মূল্যায়ণ হচ্ছে, সংলাপ নিয়ে পরিষ্কার কিছু হচ্ছে না। আমির হোসেন আমু সংলাপের বিষয়ে বললেও পরক্ষনে ওবায়দুল কাদের ও হাসান মাহমুদ সাহেবরা নাকচ করেছেন। তারা বলছে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি,এখনও সময় আসেনি। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা সংলাপে বিশ্বাসী। ফলে, এখনই সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি। সংকট সমাধান নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে কোনও কমেন্ট করতে চান না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তবে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কোনও কথাও বলতে চাই না। উনি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল স্পোকসম্যান কিনা এটা আমি জানি না। আই ডোন্ট মেক অ্যানি কমেন্ট।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি জাতিসংঘের আবার বিশেষ দূতের আলোচনায় আসার মতো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। এগুলো আসলে বিরোধী দলকে বিভ্রান্ত করতে নানারকম বার্তা দেয়া হচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি যাতে নির্বাচনে না আসে। তারা চায়, বিএনপি ছাড়া সব দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে। সেখানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আসলে তো তেমন কিছু হয় না। তিনি আরো বলেন,জাতিসংঘ তো ২০১৪ নির্বাচনের আগেও মধ্যস্থতা করেছে, তাতে কি কোন পরিবর্তন এসেছিল?
পরিশেষে বলতে চাই,সংলাপের নামে নতুন করে কি হবে বা হতে পারে,এনিয়ে জানার বাইরেও অনেক কিছু আছে। এবারের ঘটনার জের ও রেশ একটু ভিন্ন রকম। রাজনীতির চাকা ঘুরছে খুব দ্রুত। আগামী ছয়-সাত মাস প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। তাই অপেক্ষা ও দেখার মধ্যেও তারতম্য স্বাভাবিক!
লেখক ঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট
– রিন্টু আনোয়ার