ধর্ষণ মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬–এর বিচারক আল মামুন এই আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বলেন, মামলার ভুক্তভোগী একজন সরকারি কর্মকর্তা। ছয় বছর আগে (২০১৭ সালে) এএসপি সোহেল উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুলিশ অফিসার্স মেসে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেলের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
আনোয়ারুল কবির আরও জানান, পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতের নারাজি দেন ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন মামলাটি বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় গত মে মাসে সোহেল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন।