ফেনীতে আবদুল্লাহ আল নোমান (২২) নামে এক ফটোগ্রাফারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেনী শহরের উত্তর ডাক্তার পাড়া জননী ম্যানশন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
নোমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির হুমায়ুন কবীরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ফেনীতে ভাড়া বাসায় থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফারের কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নোমান ফেসবুকে তার বিভিন্ন কষ্টের কথা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিলেন। এসব স্ট্যাটাসে তিনি প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছেদ ও পারিবারিক কলহের বিষয়টি ইঙ্গিত দিতেন। এর আগেও তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রায় ৩দিন অচেতন ছিলেন বলেও দাবি করে তার বন্ধু-স্বজনরা।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, বিকেল ৩টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ জননী ম্যানশনের ৭ম তলায় কক্ষের দরজা ভেঙে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ে নোমান ব্যাচেলর থাকতেন। ঠিক কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।