গত কয়েক মাসের তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্ক, সমাবেশ, প্রচারণা শেষে এবার ভোট হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। বেশ কিছু জায়গায় এখনো ভোটগ্রহণ বাকি।
আগে থেকে অনুমান করা হচ্ছিল, ভোটের দিনই নিজেকে ‘আগাম বিজয়ী’ ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প। বুধবার (৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ট উপদেষ্টা এ পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, বর্তমান ফলাফলে সম্ভাব্য ‘বিজয় বিশ্বাসযোগ্য’। মঙ্গলবার (বুধবার) রাতে ফলাফল সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হলেও তাতে ট্রাম্পের হারানোর কিছু নেই। তার তার উচিত হবে আগাম বিজয় ঘোষণা করে দেওয়া।
উপদেষ্টারা মনে করছে, আগাম বিজয় ঘোষণা করে করে সম্ভাব্যভাবে জনমত এবং মিডিয়া কভারেজকে প্রভাবিত করা যেতে পারে। বিশেষ করে যে সব অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নিজেকে বিজয়ী হিসাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের প্রভাবিত করার কৌশল। প্রতিদ্বন্দ্বীদের অসম্মানিত করার রাজনীতিও এটি।
অবশ্য, ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ উপদেষ্টাদের মধ্যেও এ নিয়ে মতবিরোধ আছে। কিছু উপদেষ্টা তাকে আরও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে সব ভোট গণনা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন ট্রাম্প।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উপদেষ্টাদের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিবেন কি না তা পরিষ্কার নয়।
অবশ্য আগাম বিজয় ঘোষণা করে মার্কিন আইন অনুযায়ী গর্হিত কাজ। মার্কিন নির্বাচনি বিধিতে, আনুষ্ঠানিক ফলাফলের আগে বিজয় ঘোষণা করা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেখা যেতে পারে এবং এর ফলে আইনি চ্যালেঞ্জ, জনগণের প্রতিক্রিয়া বা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ হতে পারে।
এ ছাড়া যদি ট্রাম্প সময়ের আগে বিজয় দাবি করেন এবং পরে ভুল প্রমাণিত হন, বিশেষ করে যদি ফলাফল উল্টে যায় বা মেইল-ইন ব্যালট (যা গণনা করতে বেশি সময় নিতে পারে) ফলাফল পরিবর্তন করে তাহলে ঝুঁকি থাকতে পারে।
অবশ্য ভোটের আগে কমলা হ্যারিসের দল ডেমােক্র্যাট শিবির থেকে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প যদি আগাম বিজয় ঘোষণা করে, সেক্ষেত্রে তারা এটি ঠেকাতে প্রস্তুত।