বিশ্বের সবচেয়ে ছোট শহরের অবস্থান ক্রোয়েশিয়ায়। সেখানকার ইস্ট্রিয়া এলাকার বিস্ময়কর পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ছোট্ট এক শহর হাম। জানলে অবাক হবেন, এই শহরে আছে মাত্র দুটি রাস্তা ও তিন সারি ঘর।
মধ্য ইস্ট্রিয়াতে অবস্থিত হাম শহরের অবস্থান ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেব থেকে আনুমানিক আড়াই ঘণ্টার। মধ্যযুগীয় পাহাড়ের চূড়ার শহর হামের জনসংখ্যা মাত্র ২০-৩০ জন (২০১১ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে ২১ ও ২০২২ সালের ২৭ জন) বাস করে।
হাম শহরের উৎপত্তি যেন রহস্যে আবৃত। ঐতিহাসিক নথিতে এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১১০২ সালে। তখন এটিকে চোলম বলা হত। শহরের প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে ১৫৫২ সালে একটি ঘণ্টা ও ঘড়ির টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল পাহাড়ের চূড়ায়।
রক্ষীরা তাদের পরিবার নিয়ে সেখানে বসাবাস করা শুরু করেন। তাদের মাধ্যমেই হাম শহরে জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে শহরটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেও বিকাশ লাভ করেনি।
১০০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার চওড়ার এই এই পাহাড়ি শহরটি এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট শহর হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এ স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ কারণেই পর্যটকরা ঘুরতে যান এই স্থানে।
হাম শহরবাসীর আয়ের প্রধান দুটি উৎস হলো কৃষি ও পর্যটন। পাহাড়ি এই শহর সবারই মন কাড়ে। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই শহর থেকে।
শহরটি আজও মধ্যযুগীয় নিয়মকানুন অনুসরণ করে। সেখানে মেয়রও নির্বাচিত হয় সেকালের রীতিনীতি মেনেই। মধ্যযুগীয়তার ছাপ আজও বিরাজমান হামের ঘরগুলোতে। পাথর দিয়ে নির্মিত ঘর, রাস্তা দেখে আপনি বিস্মিত হবেনই!
হাম শহরে ঢুকতে হয় সেখানকার টাউন গেট খুলে। এর পরের দৃশ্য আপনার চোখ জুড়াবে। আপনি মুহূর্তেই অবাক বনে যাবেন হামের সৌন্দর্য দেখে। ছোট্ট এই শহরে জনসংখ্যা কম, নেই তেমন সুযোগ-সুবিধাও তবুও সেখানকার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়বেন আপনি।