একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ১২ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন।
গত ১১ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রিট খারিজের চার বছর পর তারা এ আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
তারও আগে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।
নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন রিট দায়ের করেন।