নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি এ বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা ও আদালতের রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সে মামলাটি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, এই মামলার রায় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে নিন্দার ঝড় উঠেছে, স্পষ্টতই সেটি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই— তারা যেন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। এর বাইরে যা কিছুই ঘটবে তাতে কড়া দৃষ্টি থাকবে আমাদের।
এ ছাড়া আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনটিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেমনভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের যে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে ছিলে তা কতটা মানবে বাংলাদেশ সরকার। আর যদি না মানে তবে এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা বাইডেন প্রশাসন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি। এ বিষয়টি অনেকবার স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে আমাদের স্পষ্টত নজর রয়েছে।
নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কি ধরনের অ্যাকশন নেবে তা নিয়ে এখনই জানাতে চান না বলে উল্লেখ করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত ছুটির মৌসুমের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ পর বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হলে প্রশ্নের জন্য এই প্রতিবেদককে আহ্বান করেন ম্যাথিউ মিলার।