ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জিততে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আরও বেশি শক্তিশালী।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ইসরাইল ও ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়েও কথা বলেন। খবর বিবিসির।
এ ছাড়া আমেরিকা এখনো সারা বিশ্বের জন্য একটি বাতিঘর বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এ প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হামাস ও ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও এক কাতারে ফেলেন বাইডেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি হামাস গ্রুপকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুলনা করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘হামাস ও পুতিন ভিন্ন ভিন্ন হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য একই— তারা উভয়ই প্রতিবেশী গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে চায়।’
বাইডেন দাবি করেন, ‘ইউক্রেনের প্রকৃত রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার যে অধিকার আছে, সেটিই অস্বীকার করেছেন পুতিন।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরাসরি দেশের জনগণকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি জানি এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক দূরের ঘটনা বলে মনে করা হয়ে থাকে এবং এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা স্বাভাবিক— কেন এই সংঘাত আমেরিকানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে?’
তার দাবি, ‘ইসরাইল ও ইউক্রেনের সফলতা নিশ্চিত করাটা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ইউক্রেনে দখলদারিত্বের জন্য পুতিনের ক্ষুধা বন্ধ করতে না পারি, তবে তিনি নিজেকে আর ইউক্রেনের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখবেন না।’
মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আগের চেয়ে শক্তিশালী। আমেরিকা বিশ্বের কাছে এখনো একটি আলোকবর্তিকা, এখনো।’
তিনি হামাস ও পুতিনকে জিততে দেবেন না বলেও জানান বাইডেন। এ ছাড়া জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য চলতি বছরের শুরুতে পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে গোপন সফরে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘ঝুঁকি হচ্ছে— চলমান সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলা বিশ্বের অন্যান্য অংশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করছে’। তার দাবি, সেই ভবিষ্যৎ হবে ‘আরও স্থিতিশীল’ এবং ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত’।