ইসরাইলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এছাড়াও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরাইলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়ে হামাস যোদ্ধারা। এ হামলার জেরে হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হওয়ার একদিন পর রোববার গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। দুই দিনের এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের হুমকি তৈরি করেছে।
এ অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের চলমান লড়াইয়ের মাঝে আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি সাধারণ জনগণকে ‘এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, গাজায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া বলেছেন, আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য ইসরাইলে হামলা চলছে। হামাসের যোদ্ধারা রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা বলছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা অপহরণ করা ইসরায়েইলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা প্রকাশ করবে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে তারা চলমান হামলা অব্যাহত রাখবে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩১৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই বেসামরিক নাগিরক। নিহতদের মধ্যে ২০ জনের বেশি শিশু এবং ছয়জন নারীও রয়েছে।
অপরদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েইলে ৪৪ সেনাসহ অন্তত ৭০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের প্রায় এক হাজার যোদ্ধা ইসরাইলে প্রবেশ করেন। এর পর সেখানে তারা হামলা চালানো শুরু করেন। ইসরাইলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো অনেক সেনা নিখোঁজ রয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা