• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

‘মিয়ানমারের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে’

Reporter Name / ২১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন বিরোধী দলীয় উপনেতা।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির একটি থিঙ্ক ট্যাংকের আলোচনায় বলেছেন, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে, এই পরিস্থিতির কারণে; বিশেষ করে রাখাইনের সঙ্গে যে যুদ্ধ চলছে; সে কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, এমনকি বাংলাদেশ-ভারত দুটি দেশেরই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের আরো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক যেসব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন, বিশেষ করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন—এদের কাছে বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে, রাখাইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের ওপর ফোকাস করেছে। এটার একটা কারণ হলো, সীমান্তে যে চৌকিগুলো আছে, এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে। খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সঙ্গে জড়িয়ে যায়, সেখানে রাখাইনরা এটার একটা অ্যাডভানটেজ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, এখানে অনেক রকম দুরভিসন্ধি আছে। তখনকার কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানি নাগরিকরাও বেশ অ্যাকটিভ ছিল এবং দুই-তিন জন ধরাও পড়েছিল।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, কক্সবাজার ও মিয়ানমার পাশাপাশি এবং ১২ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে আমাদের এখানে আছে। সেখানে কিছু সন্ত্রাস হচ্ছে, জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। এগুলো পরবর্তী সময়ে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, যেটা ডোলান্ড লু তার বক্তব্যে বলেছেন। তাই, এ ব্যাপারটা নিয়ে চারটি দেশের বসা দরকার। এখানে ভারত ওতপ্রতভাবে জড়িত। কারণ, ভারতেরও নিরাপত্তা, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এটার একটা ইমপ্যাক্ট হতে পারে। সুতরাং, বিষয়গুলো দেখার জন্য ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষোভ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। কয়েকদিন আগেও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, অনেকগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বাজারে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। প্রতিফলন দেখা না গেলে এসবের অর্থ কী? রেজাল্ট না পেলে এসব পরিকল্পনার কী মূল্য আছে? এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সজাগ হতে হবে। সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতিতে ব্যাংক খাতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, দায়বদ্ধতার অভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে কোনো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। হওয়ার কোনো লক্ষণও নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কীভাবে ব্যাংকিং খাতের ওপর আস্থা রাখবে?

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। রমজানের আগে যদি এলসি খুলতে না পারেন, তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমান অর্থনেতিক পরিস্থিতিতে জরুরি প্রকল্পগুলো বাদে বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন জরুরি নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category